এইমাত্র
  • মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা
  • পহেলা বৈশাখ নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলতে অনুপ্রেরণা যোগায়: জিএম কাদের
  • পরমাণু চুক্তির পথে সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরাজদিখানে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যু, ১০ লাখ টাকায় সমঝোতা
  • দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাড়িয়েছে ২৬.৩৯ বিলিয়ন ডলারে
  • যশোরে বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রার প্রথম উদ্যোক্তা ভাস্কর শামীমকে সংবর্ধনা
  • ববিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
  • যুক্তরাষ্ট্রে দুর্ঘটনার কবলে ব্যক্তিগত বিমান
  • বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
  • কাশিমপুরে ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজের আড়ালে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা
  • আজ সোমবার, ১ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

    জমি বিরোধ

    শিবনগর গ্রামে জমি বিরোধে দুই মামলা, আসামিরা ঘুরছে প্রকাশ্যে

    কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নের শিবনগর ও চরনারায়নপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধকে কেন্দ্র করে দুটি পৃথক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিশু ও নারীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। 

    অভিযোগপত্রে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং অর্থ ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার পর মেঘনা থানায় দুটি পৃথক লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনও পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

    প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে। শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা রেখা আক্তার (৪১) জানান, তিনি তার নিজ বসতবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মৃত ইছহাক মিয়ার ছেলে বাছেদ মিয়ার (৫২) নেতৃত্বে একদল লোক ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়।

    রেখা অভিযোগ করেন, “তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঠের রোল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। বাম কাঁধে রক্ত জমাট বাঁধা জখম হয়। এরপর আমাকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে। শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করেছে।” তার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এলে হামলাকারীরা তাদের ওপরও চড়াও হয়। স্বামী আলেক মিয়া ও অন্য স্বজনদেরও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

    রেখা আক্তার থানায় দেওয়া অভিযোগপত্রে ছয়জনের নাম উল্লেখ করেছেন। তারা হলেন-বাছেদ মিয়া (৫২), তার ছেলে মিলন মিয়া (৩২), মুছা মিয়া (২৫), ইছহাক মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া (৬০), শাহজাহানের ছেলে অলু মিয়া (৩৪) এবং বাছেদ মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪০)। এছাড়াও আরও তিন-চারজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই গ্রামের ফৈজুদ্দিন দরবেশ মাজারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বাদীর স্বামী আলেক মিয়ার সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জেরেই এই হামলা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের ৩১ মার্চ সকালে, একই গ্রামের বাসিন্দা বাবু মিয়ার (৪৩) বাড়িতে। অভিযোগপত্রে তিনি জানান, জমি নিয়ে পুরনো বিরোধের জেরে শাহজাহান মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩২), আব্দুল বাছেদের ছেলে হিরন মিয়া (৩৫), মিলন মিয়া (৩০), মুসা মিয়া (২৭), শাহজাহান মিয়ার ছেলে অলিউল্লাহ (২৮), মৃত ইছহাক মিয়ার ছেলে বাছেদ মিয়া (৫২) ও শাহজাহান মিয়া (৬০) লাঠিসোটা ও হকিস্টিক নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়।

    হামলার সময় মো. আরাফাত (১১) ও ইউনুছ মিয়াকে (২০) এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। আরাফাতের মাথা ও ডান পায়ে গুরুতর আঘাত এবং ইউনুছের শরীরজুড়ে নীল ও ফাটা জখম হয়। ইউনুছের পকেট থেকে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

    বাবু মিয়া বলেন, ঈদের দিন “আমার ছেলেটার ডান পা রডের আগাতে পা ফাটিয়ে দিয়েছে। চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু কেউ দেখতে আসেনি। বরং হামলাকারীরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা এখন ঘরের ভেতরেও নিরাপদ নই।” এই ঘটনাতেও প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে একাধিক স্থানীয় ব্যক্তির নাম অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

    দুটি অভিযোগেই হামলাকারীদের প্রকাশ্যে চলাফেরা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। রেখা আক্তার বলেন, “অভিযোগ দিয়েছি মাসখানেক, কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরছে তারা, যেন কিছুই হয়নি। অথচ আমরা প্রতিদিন আতঙ্কে থাকি।”বাবু মিয়া বলেন, “আমরা কোনো ধরনের মামলা-মোকদ্দমা চাইনি, শুধু শান্তিতে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন জীবন নিয়ে টানাটানি চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বাধ্য হয়েই আমাকে মামলা করতে হয়েছে।”

    এ বিষয়ে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন,“বিষয়টি নিয়ে ডকুমেন্টস দেখে বলা সম্ভব। আপনি চাইলে থানায় এসে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

    শিবনগর গ্রামে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়ির দরজা দিনে-দুপুরেও বন্ধ। শিশুরা খেলছে না, নারীরা বাইরে আসছেন না। একজন গ্রামবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এই গ্রামে আগে এমনটা ছিল না। এখন সবাই ভয়ে আছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বড় কিছু ঘটে যেতে পারে।”

    এমআর

    জমি বিরোধে শ্যালকের হাতে প্রাণ গেল দুলাভাইয়ের



    রাজশাহীর নওদাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শ্যালকের হাতে প্রাণ গেল দুলাভাইয়ের। শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে নওদাপাড়া কালুর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।


    নিহত রুহুল আমিন (৪০) নওদাপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। 



    স্থানীয়রা জানান, নিহতের শ্যালক মিন্টু (৩৫) তাদের শ্বশুরের জমির মাপজোখের সময় ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজনার এক পর্যায়ে মিন্টু হাসুয়া দিয়ে রুহুল আমিনের গলায় কোপ দেন, ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত মিন্টু পালিয়ে যান। 



    শাহমখদুম থানার ওসি মাসুমা মোন্তাকিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।



    এসআর

    জমির বিরোধে আহত যুবকের মৃত্যু

    নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সাবিকুল (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। 

    রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন তিনি। রবিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সাবিকুল। নিহত সাবিকুল উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।

    পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের দীর্ঘ দিন যাবত নুরুল্লাহ গ্রুপের সাথে বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল সাবিকুলের। এরইজেরে ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ১টার দিকে নুরুল্লাহর লোকজন সাবিকুলের বাড়িতে তাদের উপর হামলা করে। এতে সাবিকুল গুরুতর আহত হন। 

    স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সাবিকুলের অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করার হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালের দিকে তিনি মারা যান।

    কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাহাড়পুর গ্রামের সাবিকুলের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়া দিন রয়েছে।

    এমআর

    Loading…